রোববার, ১৯ মে ২০২৪

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা জেনারেল চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জেনারেল লি শেংফু।
আপডেটেড
১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:১১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০৫

চীনের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে রোববার জেনারেল লি শেংফুর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি চীনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) আধুনিকায়নে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয়ে ভূমিকা রাখায় তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এমন একটা সময়ে লি শেংফু প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন বেইজিংয়ের সঙ্গে সামরিক আলোচনা ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিচ্ছে ওয়াশিংটন। গত আগস্টে তৎকালীন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের জেরে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়।

লি একজন টেকনোক্র্যাট। তিনি মহাকাশ প্রকৌশলী। কাজ করেছেন চীনের ভূ-উপগ্রহ কর্মসূচিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিএলএ নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অন্তবর্তী লক্ষ্য বাস্তবায়নে লি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত জেনারেল লি শেংফুকে শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব দিয়েছে চীন। সামরিক ও প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার থাকে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি ও প্রভাবশালী সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সাত সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদের হাতে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মূলত কূটনৈতিক বিষয়াদি দেখভাল করেন, দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন।

২০১৬ সালে লি শেংফুকে পিএলএর তখনকার নতুন স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই বাহিনীর কাজই ছিল চীনের মহাকাশ ও সাইবার যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানো। এরপর তাকে নিয়োগ দেয়া হয় সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বাধীন সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সরঞ্জাম সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান হিসেবে।

২০১৭ সালে চীনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবরনএক্সপোর্টের কাছ থেকে ১০টি এসইউ-৩৫ জঙ্গিবিমান এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা এস-৪০০-এর সরঞ্জাম কেনার কারণে পরিচালক হিসেবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন জেনারেল লি শেংফু।

বিষয়:

এবার পিরামিড রহস্যের সমাধান হচ্ছে?

মিসরের পিরামিড। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিসরের পিরামিড নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। হাজার হাজার বছর আগে এই পিরামিড কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে গবেষণা ও জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। তবে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক একটি আবিষ্কারে সে রহস্যের সমাধান হলেও হতে পারে। সাড়া জাগানো এ আবিষ্কারটি হলো নীল নদের মৃত একটি শাখা। কালের পরিক্রমায় সেটি মরুভূমির বালুর নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে নদের শাখাটি খুঁজে পাওয়ার বিষয় সামনে আনা হয়েছে। শাখাটির দৈর্ঘ্য ৬৪ কিলোমিটার। মিসরের ৩১টি পিরামিডের কাছ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল নদীটি। এর মধ্যে বিখ্যাত গির্জার পিরামিডও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই শাখা নদ দিয়ে পাথরের বড় বড় খণ্ড বহন করে ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ বছর আগে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।

গবেষণাপত্রটি রচয়িতাদের একজন মেম্ফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ভারী পাথরখণ্ডগুলোর বেশির ভাগই আনা হয়েছিল মিসরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। জলপথে সেগুলো নিয়ে যাওয়াটা বেশ সহজ ছিল। এরপর পাথরগুলো স্থলপথে নির্মাণস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

পিরামিডের বিশালাকায় পাথরখণ্ডগুলো বহন করতে যে জলপথ ব্যবহার করা হয়েছিল, সে ধারণা আগেও ছিল প্রত্নতত্ত্ববিদদের। তবে এমন কোনো জলপথের অবস্থান ও আকার নিয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন ওই গবেষণাপত্রের প্রধান রচয়িতা ও যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে অবস্থিত ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমান গোনেইম।

গবেষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ‘নীল নদের শাখা আবিষ্কার করাটা আমাকে ভূগোল, জলবায়ু, পরিবেশ ও মানুষের আচরণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’

বিষয়:

মোদির চেয়েও ধনী রাহুল

রাহুল গান্ধী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ভোটে লড়ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো নেতারা। প্রার্থী হতে তারা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র। সেখানে হলফনামায় তারা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পদ আর মামলার বিবরণী দিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, নরেন্দ্র মোদির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সম্পদের মালিক রাহুল গান্ধী।

এবার বারানসি থেকে ভোটে লড়ছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় তার ২ কোটি ৮৬ লাখ রুপির ফিক্সড ডিপোজিট আছে। তার হাতে আছে ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। গান্ধীনগর ও বারানসিতে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি আছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট প্রকল্পে মোদির ৯ লাখ ১২ হাজার রুপি আছে। ২ লাখ ৬৮ হাজার রুপি মূল্যের চারটি সোনার আংটি আছে তার। এ ছাড়া চার বছরে তার আয় বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

রাহুল গান্ধীর হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর শেয়ারবাজারে ৪ কোটি ৩০ লাখ এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ৩ কোটি ৮১ লাখ রুপির বিনিয়োগ আছে। আর ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, বীমা ও অন্যত্র তিনি ৬১ লাখ ৫২ হাজার রুপি বিনিয়োগ করেছেন। তার কাছে ৪ লাখ ১২ হাজার রুপির ৩৩৩ গ্রামের গয়না আছে। সব মিলিয়ে তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ রুপি। তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯ কোটি ২৪ লাখ রুপি মূল্যের। এ ছাড়া দিল্লির মেহরৌলিতে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে যৌথ মালিকানার ফার্ম হাউস আছে, বাড়িও আছে। গুরুগ্রামে তার দুটি বাণিজ্যিক স্পেসও আছে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার ও তার স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ রুপি। ক্যাশ, ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মেয়াদি জমা প্রকল্প, সোনা, রুপা এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি ২৩ লাখ রুপি। এর মধ্যে ১৭ কোটি ৪৬ লাখের শেয়ার এবং ৭২ লাখ ৮৭ হাজারের সোনা আছে তার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অমিত শাহর ১৬ কোটি ৩১ লাখ রুপির সম্পত্তি আছে। এর মধ্যে কৃষিজমি, আংশিক চাষযোগ্য জমি, একাধিক বাড়ি আছে।


ভারতের হরিয়ানায় বাসে আগুন: ৮ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে চলন্ত বাসে আগুন লেগে আট পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মাঝরাতের দিকে রাজ্যটির কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েত ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় এসব পুণ্যার্থী উত্তর প্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রা সেরে ফিরে আসছিলেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, বাসটিতে নারী ও শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ৬০ জন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তাদের বহনকারী বাসটি হরিয়ানার নুহ এলাকার কাছে আসার পর সেটিতে আগুন ধরে।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলেন, ‘রাত প্রায় দেড়টার দিকে বাসের পেছন দিকে ধোঁয়ার গন্ধ পেয়েছিলেন তারা। এক মোটরসাইকেল চালক বাসটির পেছনদিকে আগুন দেখে সেটিকে অনুসরণ করেন। পরে তিনি বাসচালককে গিয়ে সতর্ক করলে চালক বাসটি থামিয়ে দেন।’

জীবিত এক যাত্রী বলেন, ‘পবিত্র স্থানগুলোতে তীর্থযাত্রার জন্য আমরা ১০ দিনের জন্য বাসটি ভাড়া করেছিলাম। আমরা শুক্রবার রাতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। রাতে ঘুমের মধ্যেই ধোঁয়ার গন্ধ পাই।’

বাসটি থামার পর ততক্ষণে সেটিতে পুরোপুরি আগুন ধরে গেছে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন ও আগুন নেভানোর এবং লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। দমকল কর্মীরা আসার পর আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

বাসটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টা পর দমকল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা বাসের পেছনে গিয়ে জানালা ভেঙে অনেককে বের করে নিয়ে আসি, কিন্তু ততক্ষণে আগুন অনেক তীব্র হয়ে ওঠে। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আসতে অনেক দেরি করে।’

বিষয়:

দুর্ভিক্ষের মুখে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ

দুর্ভিক্ষপীড়িত সুদানের বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ। দেশটিতে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের কারণে সংকট আরও বাড়বে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি বলেছেন, ভয়ংকর সহিংসতার আগ্নেয়গিরির মুখে সুদান। দেশটিতে লড়াই শেষ হওয়ার কোনো সংকেত নেই। আর এই লড়াইয়ে চলছে ভয়ংকর বাড়াবাড়ি। ধর্ষণ, অত্যাচার ও জাতিগত সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। সহিংসতার জন্য ত্রাণ দেওয়া যাচ্ছে না।

ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানিয়েছেন, সুদানের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। তাদের কাছে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। তারপর থেকে ৯০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। মারা গেছে প্রচুর মানুষ। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, পুরো দেশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লেও পশ্চিম দারফুরে ভয়ংকর লড়াই চলছে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানান, গত সপ্তাহে এল ফাশারে প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে। প্রচুর মানুষ মারা গেছে, অনেকে ঘরছাড়া হয়েছে। সামনে আসছে বর্ষা। এ সময় যাতায়াতে আরও অসুবিধা হবে। কৃষকরা বীজ না পেলে তারা চাষ করতে পারবে না।

তার মতে, সুদানের মানুষের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পোর্ট সুদান থেকে ট্রাকে করে ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী ৩ এপ্রিল পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তা এখনো এল ফিশারে পৌঁছায়নি।


দুবাইয়ে ৩৯৪ বাংলাদেশির ৬২১ বাড়ি-ফ্ল্যাট রয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও সেখানে বিপুল সম্পদের মালিক। এ তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি বেশকিছু নাগরিকও।

ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুবাই শহরে শতভাগ প্রস্তুত আবাসন সম্পদ কিনেছেন কিংবা আবাসন সম্পদ কেনার প্রস্তুতি নিয়েছেন এমন যাদের কথা ফাঁস হয়েছে তাদের মধ্যে ২০২২ সালে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৩৯৪ জন। ওই বছর তারা ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের মোট ৬৪১টি সম্পদ কিনেছেন। বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটি আনুমানিক হিসেবে করে জানিয়েছে, ২০২২ সালে সর্বমোট এই সংখ্যা হতে পারে ৫৩২ জন।

ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি তাদের প্রতিবেদনে বিভিন্ন শ্রেণিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। ফাঁস হওয়া সম্পদ কেনার ঘটনার সঙ্গে সংস্থাটি নিজেদের আনুমানিক হিসাবও দিয়েছে, যেখানে ফাঁস হওয়া ঘটনার সঙ্গে ফাঁস না হওয়া ঘটনাও আমলে নেওয়া হয়েছে। তবে কারা এসব সম্পদ কিনেছেন, সেই তথ্য ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশিরা দুবাই শহরে প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত সম্পদ কিনেছেন এবং যাদের কথা ফাঁস হয়েছে, এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৪০৫ জন এবং তাদের কেনা সম্পদের মূল্য ছিল ২১ কোটি ১২ লাখ ডলার; সেই বছর বাংলাদেশিরা মোট ৬৫৭টি সম্পদ কিনেছিলেন।

এর আগেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি ও আজমান শহরে বাংলাদেশিরা নিজের ও অন্যের নামে নিজস্ব ভিলা, ফ্ল্যাট, ছোট হোটেল, তারকা হোটেলসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। এসব বিনিয়োগে নিজেদের আড়াল করে রাখছেন অনেকেই। এ জন্য তারা বাংলাদেশের পরিবর্তে আলবেনিয়া, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করেছেন।

এ প্রক্রিয়ায় আরব আমিরাতের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ ‘পাম জুমেইরা’, জুমেইরা, সিলিকন ওয়েসিস, এমিরেটস হিল, দুবাই মেরিনা ও বিজনেস বের মতো অভিজাত এলাকাগুলোয়ও নিজস্ব বাড়ি ও তারকা হোটেল গড়ে তুলেছেন কেউ কেউ। এসব এলাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনীদেরও সম্পদ রয়েছে।

ট্যাক্স অবজারভেটরির নিজস্ব আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, যেখানে ফাঁস হওয়া ঘটনার সঙ্গে ফাঁস না হওয়া ঘটনাও আমলে নেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে যে ৫৩২ জন বাংলাদেশি আবাসন কিনেছেন, তাদের কেনা সম্পদের অর্থের মূল্য ছিল ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। ২০২০ সালে সে সংখ্যাটা ছিল ৫৬২ জন; অর্থের মূল্য ছিল ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পদ কেনার হার কমলেও তার অর্থের মূল্য বেড়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগপ্রত্যাশী নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটি আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য দরজা অনেকটা খুলে রেখেছে। দুবাই শহরে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই তিনি সেখানে বাড়ি কিনতে পারেন। এর বাইরে আর কিছু খোঁজে না আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। সে কারণে দুবাই এখন সাধারণ বহুজাতিক নয়, বরং তা বিদেশিদের শহর হয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মিলিয়নের বেশি বা ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে আমিরাতিরা চূড়ান্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে, তারা এখন মাত্র ৮ শতাংশ।

এদিকে সম্প্রতি একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পরিবারের সদস্যরা।

তালিকায় দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও সংবাদে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা, সম্পদের পরিমাণ এবং দাম রয়েছে। তাদের নিয়ে পৃথক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশিদের সম্পদের মালিকানার বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে।

এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি।

এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। সব মিলিয়ে ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা।

ট্যাক্স অবজারভেটরির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দুবাই শহরে বিদেশিদের মালিকানাধীন আবাসনের মূল্য ছিল ১২১ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ১০০ কোটি ডলার; ২০২০ সালে যা ছিল ৯৮ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। মূল্যের হিসাবে দুবাই শহরের আবাসন খাতের ৪৩ শতাংশই এখন বিদেশিদের দখলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুবাই শহরে রুশ ধনীদের আবাসন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ৯৪০ ও ১ হাজার ৫০০ শতাংশ। এই সময় রুশ ধনীরা মোট ৬৩০ কোটি ডলারের প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত সম্পদ কিনেছেন।

রুশ নাগরিকদের সম্পদ কেনা বাড়লেও সামগ্রিকভাবে সম্পদের মূল্যের দিক থেকে সবার ওপরে আছেন ভারতীয়রা। ২০২২ সালে দুবাই শহরে ভারতীয়দের সম্পদের মূল্য ছিল ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। ২০২০ সালেও তারা সবার ওপরে ছিলেন, সেবার ভারতীয়দের সম্পদের মূল্য ছিল ১৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার। ২০২২ ও ২০২০ উভয় বছরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা; তাদের সম্পদের মূল্য ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলার ও ১০ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে তৃতীয় স্থানে ছিল সৌদি আরব; ২০২০ সালে ছিল পাকিস্তান। এ ছাড়া ২০২২ সালে যেসব দেশের মানুষ শীর্ষ ১০-এ ছিলেন সেগুলো হলো চীন, মিসর, জর্ডান, রাশিয়া, কানাডা, ইরান প্রভৃতি।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, তৈরি হয়নি এমন সম্পদ কেনার দিক থেকে ২০২২ সালে সবার ওপরে ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের নাগরিকরা। ২০২০ সালে শীর্ষে ছিলেন আরেক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার নাগরিকরা। ২০২২ সালের তালিকায় শীর্ষ ১০-এ ফিলিস্তিন, সুদান ও আফগানিস্তানের মতো দেশের নাগরিকরাও আছেন।


স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি: সন্দেহভাজন একজন আটক

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করার পর ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন এক হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলির ঘটনায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বুধবার দেশটির হ্যান্ডলোভা শহরে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে একটি সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফিকো। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পরই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ ফিকোকে একটি গাড়িতে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পর দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘হামলাকারী সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তিনি একজন পুরুষ। তার বয়স ৭১ বছর। তিনি একজন লেখক।’

আটক ব্যক্তির বিষয়ে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্তোকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারী ডিইউএইচএ (রংধনু) সাহিত্য ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। স্লোভাকিয়ার লেভিস শহরের বাসিন্দা তিনি।

খবরে আরও বলা হয়, আটক ব্যক্তি তিনটি কবিতাসমগ্র লিখেছেন। তিনি স্লোভাকিয়ার লেখকদের একটি সংগঠনের সদস্য।

লেখকদের সংগঠনটি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২০১৫ সাল থেকে তাদের সদস্য। প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় তার জড়িত থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, বাবার চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা সম্পর্কে সত্যিই তার কোনো ধারণা নেই। এ ঘটনা কেন ঘটল, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।

আটক ব্যক্তির ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবার কাছে বৈধ, নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, কোনো কারণে তার বাবা প্রধানমন্ত্রী ফিকোকে অপছন্দ বা ঘৃণা করতেন কি না? জবাবে ছেলে বলেন, তার বাবা ফিকোকে ভোট দিতেন না। তিনি এতটুকুই শুরু বলতে পারেন।


ইন্দোনেশিয়ায় শীতল লাভায় প্রাণ গেল ৬৭ জনের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ও ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ বিএনপিবি জানিয়েছে, তিন জেলার দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বন্যা ও লাভা নিঃসরণের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পুরনো বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি অধিকাংশের।

তাদের আবাসনের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে উল্লেখ করে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপিবি জানিয়েছে, ‘যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদেরকে সরকার জমি দেবে এবং সেই জমিতে ঘরও তৈরি করে দেবে। আগামী সময় লাগবে সর্বোচ্চ ছয় মাস।’

গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলো— এই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান ও লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


গাজা নিয়ে মতবিরোধ: পদত্যাগ করলেন বাইডেনের আরেক কর্মকর্তা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা। মূলত গাজা নিয়ে মতবিরোধের জেরে প্রকাশ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও নীরব রয়েছে তারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে জো বাইডেনের প্রশাসনের আরও একজন কর্মী প্রকাশ্যে পদত্যাগ করেছেন।’

পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তার নাম লিলি গ্রিনবার্গ কল। তিনি মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চিফ অব স্টাফের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন বলে গতকাল বুধবার জানায় এপি।

লিলি গ্রিনবার্গ কল তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, “তিনি ‘তার বিবেক ও বিচারবুদ্ধিকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করা চালিয়ে যেতে পারেন না’।”

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিলি আরও বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) ইহুদিদেরকে আমেরিকান যুদ্ধযন্ত্রের মুখ বানাচ্ছেন। এবং এটি খুব গভীরভাবে ভুল পদক্ষেপ।’

গত বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ও অবরোধে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি।

বিষয়:

জীবনঝুঁকি নেই গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বন্দুকধারীর গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর জীবনঝুঁকি নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির এক মন্ত্রী। স্থানীয় সময় বুধবার সরকারি এক বৈঠকের পর গুলিতে গুরুতর আহত হন ফিকো, যেটি ছিল গুপ্তহত্যার চেষ্টা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৫৯ বছর বয়সী ফিকোকে পাঁচবার গুলি করে গুরুতর আহত করেন বন্দুকধারী। বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার হয় স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।

‘আমি খুবই মর্মাহত…সৌভাগ্যবশত আমি যতদূর জেনেছি, অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমার ধারণা শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যাবেন…এ মুহূর্তে জীবনঝুঁকি নেই তার’, বলেন স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা।

তিনি জানান, বন্দুকধারীর একটি গুলি ফিকোর পাকস্থলি ভেদ করে। আরেকটি গুলি তার গ্রন্থিতে আঘাত হানে।

অ্যাকচুয়ালিটি ডট এসকে নামের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিকোর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।

এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কয়েকটি গুলির আঘাতে মারাত্মক আহত হন ফিকো।

তারও আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্তক জানান, প্রাণহানির শঙ্কায় আছেন ফিকো, যিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন।


নথি ফাঁসে বের হলো দুবাইয়ে ধনীদের গোপন সম্পদের পাহাড়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৪ ০৩:২০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। আকাশচুম্বী অট্টালিকার এ শহরে তাদের একেকজনের লাখ লাখ ডলার মূল্যের সম্পদের মালিকানা। বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের ফাঁস হওয়া তালিকায় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী ও অপরাধীদের নাম উঠে এসেছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ‘দুবাই আনলকড’ নামের ওই নথি প্রকাশ করা হয়। এতে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মতো ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাবও রয়েছে। অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এতে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে।

ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি। এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে।

বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা। ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ফোর্বসের প্রতিবেদনের শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। তার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।

তালিকায় আরও আছেন ওমানের নাগরিক সুহাইল বাহওয়ান। তিনি ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক। আছেন রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবার, সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

ভারতীয় নাগরিক এম এ ইউসুফ আলীর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে তাদের সাত কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া আরেক ভারতীয় শামশির ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রডাকশন সিটিতে তিনি ছয় কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।

আরেক ভারতীয় শামশির ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলারের। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।

সুহাইল বাহওয়ান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিক। ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

বিনোদ আদানি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ
করা হয়েছে।

মিশরের নাগরিক নগিব সাবিরিস। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ১ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

সকেট বর্মন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট বর্মনের। এ ছাড়া রয়েছেন, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।

দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও আছে এ তালিকায়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন এ তালিকায়। পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী আশরাফ,সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।


 ফ্রান্সে পুলিশ ভ্যানে নৃশংস হামলা

পলাতক আসামির খোঁজে ‘নজিরবিহীন’ অভিযান
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে নরম্যান্ডি শহরে পুলিশ ভ্যানে নৃশংস হামলায় নিহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা, আহত হয়েছেন তিনজন। এরপর হামলাকারীরা আসামিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। ‘দ্য ফ্লাই’ নামে পরিচিত মোহামেদ আমরা নামের সেই পলাতক আসামির খোঁজে নজিরবিহীন তল্লাশি শুরু করেছে নরম্যান্ডি পুলিশ বিভাগ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে আজ এ খবর দিয়েছে।

মঙ্গলবার মোহামেদ আমরাকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাকে বহনকারী পুলিশ ভ্যান একটি টোল বুথে পৌঁছালে সেখানে একটি গাড়ি মুখোমুখি এসে ধাক্কা দেয় ভ্যানটিকে। সশস্ত্র কয়েক ব্যক্তি পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং গুরুতর আহত হন তিনজন।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ফরাসি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই হামলাকে ‘ঠাণ্ডা মাথায় সংঘটিত বর্বরতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে নিয়োজিত করা হয়েছে নরম্যান্ডি পুলিশ বিভাগের প্রায় ৪৫০ সদস্যকে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করতে সবকিছুই করা হচ্ছে।

প্যারিসের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি লর বেকুউ সাংবাদিকদের বলেছেন, গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে মোহামেদ আমরাকে বহনকারী ভ্যানটি ফ্রান্সের উত্তরে ইউরে অঞ্চলের ইনকারভিলে টোল বুথ অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পিউজিট গাড়ি এসে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। সেই গাড়ি থেকে বন্দুকধারীরা বেরিয়ে আসে। পুলিশ ভ্যানের পেছনে থাকা একটি অডি গাড়ি থেকেও বন্দুকধারীরা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই অডি পুলিশ ভ্যানকে অনুসরণ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লর বেকুউ আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশ ভ্যানে বেশ কয়েকবার গুলি চালায়, অফিসারদের হত্যা ও আহত করে। এরপর আসামিকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

ফ্রান্সের ন্যায়বিচারবিষয়ক মন্ত্রী এরিক দুপো মোরেত্তি বলেন, ‘এই জঘন্য অপরাধী, যাদের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই, তাদের খুঁজে বের করার জন্য সবকিছু, মানে সবকিছুই করা হবে।’ তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

মোহামেদ আমরাকে গত ১০ মে চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া মার্সেইতে একটি অপহরণের ঘটনায়ও অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাকে। ওই অপহরণের ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছিল।

আমরার আইনজীবী হিউজেস ভিনিয়ার ফরাসি সংবাদমাধ্যম বিএফএমটিভিকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করতে চান যে মোহামেদ আমরা তাকে মুক্ত করার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন না। ভিনিয়ার বলেন, ‘আমি মোহামেদ আমরাকে যেভাবে চিনি, সে অনুযায়ী এই পরিকল্পনা সম্পর্কে তার যুক্ত থাকার কথা নয়। যদি সে এর পেছনে থেকে থাকে, তবে আমি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি যে সে আসলে কে।’

ফরাসি কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমরা এই সপ্তাহের শুরুতে কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি লর বেকুউ জানিয়েছেন, ১৩টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আমরা। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মার্সেইয়ের একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে আমরার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। সেই গ্যাংটির বিরুদ্ধে মাদক-সম্পর্কিত সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে আমরা এখনো কোনো মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হননি।


মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না ভারত: এস জয়শঙ্কর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার জন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৬ সালের একটি চুক্তি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে ভারত। এতে ক্ষেপে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। তবে ভারত এই হুমকি তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। খবর এনডিটিভির।

আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গের নিজের বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ খুলে যাবে। প্রকল্পটি সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো হবে। বিষয়টিতে কারও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই অতীতে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমি কিছু মন্তব্য দেখেছি, তবে আমি মনে করি এটি আসলে সবার সুবিধার জন্য। আমি মনে করি না কারও এটি সম্পর্কে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া উচিত।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (মার্কিন) অতীতে এটি করেনি। আপনি যদি চাবাহার বন্দরের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব দেখেন, তাহলে দেখবেন তারা চাবাহারের একটি বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশংসা করেছে।’

সোমবার চুক্তির পর গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দিল্লি-তেহরানের চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনো কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে। যেসব পক্ষ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

নাম উল্লেখ না করে ভারতকে সতর্ক করে বেদান্ত বলেন, যারাই ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, তাদের মনে রাখা উচিত যে তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়ার পথ খুলে দিচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্য পরিবহনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তারই অংশ হলো ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর চুক্তি। ভারতের নৌপরিবহন ও বন্দরমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এ চুক্তির জন্য ইরানে গিয়েছিলেন। সোমবার ভারতের নৌ মন্ত্রণালয় জানায়, ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাবাহার বন্দরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু আমরা কখনোই একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। কারণ ইরানের প্রান্তে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। জয়েন্ট-ভেঞ্চার পার্টনার পরিবর্তন, শর্ত পরিবর্তিত হয়েছে।’

চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশেষে আমরা এটি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটি প্রয়োজনীয়, কারণ এটি ছাড়া আপনি সত্যিই বন্দর পরিচালনার উন্নতি করতে পারবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, সমগ্র অঞ্চল উপকৃত হবে।’

প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর একটি ভারত-ইরান ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, যা আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট বন্দর হিসেবে কাজ করে, যা ল্যান্ডলকড দেশ। চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ভারত সরকার বন্দরের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে এবং আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার জন্য আবদ্ধ ভারতীয় পণ্যের জন্য এটিকে একটি কার্যকর ট্রানজিট রুট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এর সুবিধাগুলো আপগ্রেড করার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।


ইসরায়েলকে নতুন করে অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনা বাইডেনের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে নতুন করে একশ’ কোটি ডলারের অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনার কথা কংগ্রেসকে জানিয়েছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামলা চালালে কিছু অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বাইডেনের হুমকির এক সপ্তাহের মধ্যে এ পরিকল্পনার কথা জানাল তার প্রশাসন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রশাসন মঙ্গলবার কংগ্রেসকে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক সহকারি জানিয়েছেন, মার্কিন অস্ত্র প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে যে অস্ত্র নেয়া হবে তা একশ’ কোটি ডলার মূল্যের।

এরআগে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্যে নয় হাজার পাঁচশো’ কোটি ডলারের একটি প্যাকেজ অনুমোদন করে।

এদিকে নতুন করে অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনার কথা এমন এক সময়ে আসলো যখন কেবল সপ্তাহ খানেক আগে বাইডেন ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছিল, রাফায় স্থল হামলা চালানো হলে যুক্তরাষ্ট্র বোমা ও কামানের গোলা সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

যদিও বাইডেনের এ হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করেই ইসরায়েল রাফায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং রাফা ক্রসিংয়ে সৈন্য ও ট্যাংক জড়ো করেছে।

ইসরায়েলের কাছে নতুন করে অস্ত্র বিক্রির খবরটি প্রথম প্রকাশ করে ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’। জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, এতে সম্ভবত ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংক গোলাবারুদ এবং ৫০ কোটি ডলারের কৌশগলগত যানবাহন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনও তাদের কাছে ১২৮ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।


banner close